মঈন উদ্দিন :: কক্সবাজারের চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কর্তৃক নিয়োজিত তদন্ত কর্মকর্তা ও সরকারি অফিস সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার, মানহানিকর বক্তব্য লেখা, সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগে আবদুল মজিদের (সাংবাদিক) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
সিআর মামলা নং-৬১১/১৯ মুলে ১৮৬/১৮৯/৩৫৩/৫০০ ধারায় গত ৩ জুন স্মারক নং-৪৪০/১৯ নাম্বারে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
চকরিয়া উপজেলা সরকারি কমিশনার (ভুমি) খোন্দকার মো.ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত বলেন, ফাঁসিয়াখালীর বাসিন্দা জালাল উদ্দিন বাদি হয়ে আবদুল মজিদসহ কয়েকজনকে আসামী করে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি নালিশী মামলা (নং-৭২২/১৮) দায়ের করেন। আদালত ওই মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সহকারি কমিশনার (ভুমি) খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতকে দায়িত্ব দেন।
এসিল্যান্ড ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত আরো বলেন, ৩জুন সোমবার ওই অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করি। এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর থেকে আবদুল মজিদ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে আমিসহ সরকারি সেবা প্রতিষ্টান ভুমি অফিস নিয়ে নানা কুরুচিপূর্ণ এবং মানহানিকর বক্তব্য ক্রমাগতভাবে প্রচারণা চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ও সরকারের ভাবমূতি নষ্ট করে যাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আবদুল মজিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পরোয়ানাটি ইস্যুর দিনেই চকরিয়ায় থানায় প্রেরণ করা হয়েছেে। ঈদের আগের দিন থেকে আবদুল মজিদকে আটকের জন্যে সম্ভাব্য কয়েক জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। তাকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে বলে চকরিয়া থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
পাঠকের মতামত: